Blog Pages

Blog Page

Enjoy The Latest Hot Collection

It is a long established fact that a reader will be distracted by the readable content of a page when looking at its layout. The point of using a letters

All Blog Politics Weather Sports International Entertainment Education Technology Business & Finance
...
অস্বাভাবিক বৈরী সেপ্টেম্বর, গরমে হাঁসফাঁস

সারা দেশ যেন খাঁ খাঁ রোদে পুড়ছে। সকাল থেকে শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত প্রচণ্ড গরমের অনুভূতি থাকছে। গত মে মাসের পর সারা দেশে একযোগে এত গরম পড়েনি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ বলছে, আজ শনিবার তো বটেই, আগামীকাল রোববারও দেশজুড়ে মাঝারি মাত্রার এই তাপপ্রবাহ চলতে পারে। আগামী সোমবার নাগাদ বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এদিকে বর্ষার শেষ সময়ের এই প্রচণ্ড গরমকে আবহাওয়ার ব্যতিক্রমী আচরণ বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। আর সপ্তাহ দুয়েক পরে সারা দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার কথা। এ সময়ে মৌসুমি বায়ু শক্তিশালী হয়ে আকাশে মেঘ বেড়ে যায়। তাপমাত্রাও কমে আসে। সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশের বেশির ভাগ এলাকার গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু গতকাল শুক্রবার দেশের বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। এবারের সেপ্টেম্বরে রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রাও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ফলে এবার একটু অস্বাভাবিক বৈরী সেপ্টেম্বরের মুখোমুখি হতে হয়েছে। আবুল কালাম মল্লিক, আবহাওয়াবিদ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল নেত্রকোনায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; আর সিলেটে উঠেছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাধীনতার পর ওই দুই জেলায় সেপ্টেম্বর মাসে এত বেশি তাপমাত্রা ওঠেনি। রাজধানীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসময়ে তীব্র গরমে এসব এলাকার জনজীবনে হাঁসফাঁস শুরু হয়। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত এপ্রিল–মে মাস দেশের সবচেয়ে উষ্ণ সময়। এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ওঠে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে সাধারণত বৃষ্টি থাকে। এবারের সেপ্টেম্বরে বৃষ্টি রেকর্ড পরিমাণে হয়েছে, তাপমাত্রাও রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে। ফলে এবার একটু অস্বাভাবিক বৈরী সেপ্টেম্বরের মুখোমুখি হতে হয়েছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত গরম থেকে যাওয়ায় দেশের বড় শহরগুলোতে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে এসেছে। সাধারণত এ সময়ে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য থাকে ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; কিন্তু গতকাল তা কমে ৬ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। এ ধরনের আবহাওয়ায় প্রকৃতি ঠান্ডা হওয়ার সুযোগ পায় না। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সোমবার বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এটি সুস্পষ্ট লঘুচাপ বা বড়জোর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে দেশের উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। ফলে সোম বা মঙ্গলবারের মধ্যে সারা দেশের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে প্রচুর ঘাম ঝরছে। এ ধরনের আবহাওয়ায় প্রচুর পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

...
বৃষ্টি হতে পারে কোথাও কোথাও, গরম নিয়ে নেই সুখবর

টানা কয়েক দিনের ভ্যাপসা গরমের পর শরতের আকাশ আজ শনিবার বেলা ১১টার পরে হঠাৎ মেঘাচ্ছন্ন হয়ে আসে, হয়ে যায় একপশলা বৃষ্টিও। তবে তাতে খুব বেশি স্বস্তির খবর দেয়নি আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ সকাল থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা ও আশপাশের এলাকার আকাশ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থেকে মেঘাচ্ছন্ন থাকতে পারে বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঢাকাসহ সারা দেশের কোথাও কোথাও এমন বৃষ্টি হতে পারে। তবে এই বৃষ্টিতে গরম খুব বেশি কমবে না, বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস। আজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকার কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে টানা প্রায় সাত দিন প্রচণ্ড গরমের পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে দেশজুড়ে বৃষ্টি শুরু হয়। এ সময় সাগরে গভীর নিম্নচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। তবে বেশি বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারসহ দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। এসব এলাকার কোথাও কোথাও বন্যাও দেখা দেয় সাময়িকভাবে। তবে গত সোমবার থেকে আবার তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। সারা দেশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। আগামীকাল তাপমাত্রা একই রকম থাকতে পারে। পরদিন কমতে পারে তাপমাত্রা। এ ছাড়া আগামী কয়েক দিনে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে পারে। আজ দিনের জন্য আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু–এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। দেশের ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ তাদের বিজ্ঞপ্তি বলছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হয়েছে চট্টগ্রামে, ৯২ মিলিমিটার। ঢাকার শুধু মাদারীপুরে ৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, বৃষ্টি হতে পারে সাময়িক। বৃষ্টি থামলেই ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে। বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকায় গরমের অনুভূতিটা গত কয়েক দিন বেশি হচ্ছে। তবে আজ গরমের তীব্রতা একটু কমতে পারে। ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে।

...
২৩৪ রানে অলআউট বাংলাদেশ, ভারতের ২৮০ রানের জয়

কেমন হতে পারে চেন্নাইয়ের উইকেট ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছেন, চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেটে অতিরিক্ত বাঁক থাকলে সেটা ভারতকেই বিপদে ফেলতে পারে। বাংলাদেশ দলে প্রতিপক্ষকে বিপদে ফেলার মতো স্পিনার ও পেসার আছেন। পেসার নাহিদ রানা এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটে আলোচনার ঝড় তুলেছেন। মাত্র তিন টেস্ট খেলেই কোনো ফাস্ট বোলার এর আগে কবে এত আলোচিত হয়েছেন, তা একটা প্রশ্ন। চেন্নাই থেকে প্রথম আলোর প্রতিনিধি মোহাম্মদ জুবাইর জানিয়েছেন, চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট লাল মাটির, একটু ঘাসও আছে। আবহাওয়া একটু মেঘাচ্ছন্ন। গত কয়েকদিনের চেয়ে গরম কম। তবে সকাল ১০টার পর আবহাওয়া এমন নাও থাকতে পারে। ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার দিনেশ কার্তিক জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ে আজকের দিনটা অন্য সব সাধারণ দিনের মতো নয়। পরিবেশ একটু ঠান্ডা। ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে তাপমাত্রা যা ৩৪ ডিগ্রিতেও উঠতে পারে। কার্তিক আরও জানিয়েছেন, লাল মাটির উইকেটে বাউন্স ও বাঁক দুটোই থাকবে। উইকেটে একটু ময়েশ্চারও থাকবে তাই দিনের খেলার শুরুতে সাহায্য পাবেন পেসাররা। টস জিতে আগে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন টস জিতে বলেছেন, তিনি কন্ডিশন কাজে লাগাতে চান এবং উইকেটের ময়েশ্চারের ফায়দা তুলে নিতে চান। পাকিস্তান সফরে সর্বশেষ টেস্টের মতো এই ম্যাচেও তিন পেসার ও দুজন স্পিন অলরাউন্ডার খেলাবে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছেন, তিন পেসার ও দুজন স্পিনার খেলাবেন তাঁরা। বাংলাদেশের একাদশ জাকির হাসান, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন (অধিনায়ক), মুমিনুল হক, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। বাংলাদেশ দলে কোনো পরিবর্তন নেই। রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও সর্বশেষ টেস্টের একাদশই খেলাচ্ছে বাংলাদেশ।

...
সাকিবকে দল থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠে গেল

মাঠের পারফরম্যান্স ও মাঠের বাইরের নানা সমস্যার কারণে সাকিবকে আজ একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার প্রশ্ন উঠে গেল। এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের প্রেস বক্সে চেন্নাই টেস্ট হারের পর অধিনায়ক নাজমুল হাসানকে এ প্রশ্নটার মুখোমুখি হতে হলো। বাংলাদেশ থেকে সিরিজ কাভার করতে আসা সাংবাদিকের করা প্রশ্নটা শুনে নাজমুল নিজেকে সামলে নিতে কয়েক মুহূর্ত সময় নিলেন। এরপর হেসে বললেন, ‘খুব সাহসী প্রশ্ন! মাশাআল্লাহ্!’ তারপর খেলোয়াড় সাকিবের মাঠের বাইরের পারফরম্যান্স পাশ কাটিয়ে গেলেন কৌশলে, ‘অধিনায়ক হিসেবে আমি যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না, আমি দেখি যে কে কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি খেয়াল রাখি। আমি চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেওয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না।’ নাজমুল কথাটা শুধু সাকিবের প্রসঙ্গে বললেও তা পুরো দলের জন্য, উল্লেখ করেছেন সেটাও, ‘অনেকে ভাবতে পারে, সাকিব ভাই দেখে আমি বলছি। তবে এ রকম না। নাহিদ রানা থেকে শুরু করে মুশফিক ভাই, সবার জন্যই আমি একই জিনিস দেখার চেষ্টা করি। এমন নয় যে রান করছে বা রান করছে না। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমার মনে হয়, তার প্রস্তুতি কেমন, দলের প্রতি তার চিন্তাভাবনা কেমন, দলকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য ওই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিচ্ছে কি না। এই জিনিসগুলো দেখে আমি খুশি, দলে যে ১৫-১৬ জন ক্রিকেটার আছে, তাদের নিয়ে আমি খুশি।’ এর আগে সাকিবের চোখের সমস্যা ও আজ ব্যাটিংয়ের সময় সামলাতে গিয়ে আঙুলে পাওয়া ব্যথা নিয়েও প্রশ্ন হয়েছে। সে প্রশ্নেও নাজমুল ব্যক্তি থেকে সরিয়ে আলোচনাটা নিয়ে গেলেন পুরো দলের সামগ্রিক পারফরম্যান্সের দিকে, ‘আঙুলের যে ব্যাপারটা, টেপ পেঁচিয়েছেন। বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো। আমি কখনো নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা দলীয় খেলা। পুরা দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।’

...
খোলাবাজারে ডলারের দাম কমেছে

চাহিদা কমে যাওয়ায় এবং সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের খোলাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম কমেছে। বর্তমানে খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১২১-১২২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা সপ্তাহ তিনেক আগেও ১২৫ টাকার মতো ছিল। বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যবসায়ী বা মানি চেঞ্জার প্রতিষ্ঠানগুলো জানায়, আজ বুধবার খোলাবাজারে ১২১ থেকে ১২২ টাকা ৫০ পয়সা দরে ডলার বিক্রি করেছে তারা। ব্যবসায়ীরা জানান, গত ৫ আগস্ট দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মানুষের বিদেশযাত্রার প্রবণতা কমেছে। পাশাপাশি খোলাবাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। এ দুই কারণে ডলারের দাম আগের তুলনায় কমেছে। বিদেশে ভ্রমণকারীরা সাধারণত খোলাবাজার থেকে ডলার কিনে থাকেন। রাজধানীর ধানমন্ডির খোলাবাজারের ডলার বিক্রেতা মো. আতিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হাতে হাতে যে ডলার আসছে, তার দাম কমে ১২১ টাকায় নেমেছে। আমার এখান থেকে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ভারতগামী যাত্রীরা ডলার কেনেন। তবে কিছুদিন ধরে এ ধরনের যাত্রী একেবারেই কম আসছেন। জানা গেছে, গত জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১১৮-১১৯ টাকার মধ্যে বেচাকেনা হতো। এর আগের কয়েক মাসও নগদ ডলারের দাম একই রকম ধারায় ছিল। তবে ছাত্র আন্দোলনের সময়ে জুলাইয়ের শেষ দিকে ডলারের দাম বাড়তে থাকে; একপর্যায়ে তা ১২৫ টাকার ওপরে চলে যায়। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের কয়েক দিন পর থেকে ডলারের দাম কমতে থাকে। এদিকে ব্যাংকগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা আজ বুধবার প্রতি ডলার ১২০ টাকায় বিক্রি করছে। তবে ব্যাংকগুলো পরিচিত গ্রাহক ছাড়া অন্যদের কাছে ডলার তেমন বিক্রি করছে না।

...
BTech in AI vs BTech in CSE: Difference, job opportunities & limitations

Vimal Bibhu NTA will soon release the entrance examination calendar and JEE aspirants will get to know their January and April exam dates. While it is too early to choose, however, some students have already decided their branch/ course. While CSE remains the most-preferred course, BTech in AI is also picked by top rankers. However, many engineering aspirants face the dilemma of whether to pursue a BTech Artificial Intelligence (AI) or BTech Computer Science Engineering (CSE). While both streams share similarities, there are key differences. We solve this for you: Clarifying the confusion: BTech AI is not a separate branch Contrary to popular perception, BTech in AI is not a distinct branch of engineering, as per the Indian technical education regulator – All India Council foe Technical Education (AICTE). Instead, it is a specialisation within BTech CSE that focusses on AI. Students can choose AI as a focus area within the broader CSE framework. The BTech in AI curriculum focuses on core AI concepts like machine learning, neural networks, deep learning and natural language processing (NLP) in addition to regular CSE courses. Key differences between BTech in AI and BTech in CSE Mandatory AI courses BTech CSE AI includes mandatory courses like machine learning, deep learning, supervised and unsupervised learning, whereas these are optional in BTech CSE. AI specialisation courses are machine learning (learning from data without explicit programming), deep learning (neural networks for image/speech recognition), and supervised and unsupervised learning (labeled/unlabeled data analysis). Whereas in BTech CSE (General) curriculum fundamental computer science subjects programming, algorithms, data structures, databases, operating systems, and AI-related courses available as optional electives.BTech CSE AI has an edge over BTech CSE In today’s automation-driven industry, BTech CSE AI graduates have a significant advantage. With numerous job opportunities in the software and AI industries globally, this specialisation opens doors to diverse career paths. Key sectors include AI and machine learning (creating AI models, developing algorithms), data science (analysing and interpreting large datasets using AI) and robotics and automation (developing smart robotics, automating processes). Global opportunities exist in tech hubs including in the Silicon Valley, Europe, Asia, tech giants, startups, research labs and innovation-driven industries.

...
কেমন চলছে এবারের ভর্তি প্রস্তুতি

ফার্মগেট মেট্রো স্টেশন থেকে নেমেই একধাক্কায় যেন ফিরে গেলাম বছর কয়েক পেছনে। ইন্দিরা রোডের এই জায়গা আমার খুব চেনা। শরতের তপ্ত বিকেলে বহু শিক্ষার্থীকে ব্যাগ কাঁধে ছুটতে দেখা গেল। এই ভিড়ে তো একদিন আমিও ছিলাম। এই শিক্ষার্থীদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। শেষ বিকেলের কমলা আলোয় তাঁদের কারও কারও মুখে তারুণ্যের দীপ্তি, কারও মুখে ক্লান্তির ছায়া চোখে পড়ল। কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করব বলে পা বাড়াই। এবার যাঁরা ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, প্রায় সবাই ২০২৪ সালের এইচএসসি ব্যাচ (আগের ব্যাচেরও অনেকে আছেন, যাঁরা দ্বিতীয়বার পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন)। এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার মাঝপথেই শুরু হয় ‘জুলাই বিপ্লব’, থেমে যায় পরীক্ষা। আন্দোলন শেষেও পূর্বাঞ্চলে ছিল বন্যার ভয়াবহতা। নানা কারণে পরীক্ষা বা পড়ালেখা—কোনোটিতেই মন দেওয়ার সুযোগ হয়নি অনেকের। ভর্তিযুদ্ধে নামার আগে নিজেকে ঝালিয়ে নিতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ থেকে রাজধানীর ফার্মগেটে এসেছেন রেজওয়ানা আফরীন। মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পরীক্ষাপদ্ধতি বা প্রশ্নকাঠামো নিয়ে কোনো অনিশ্চয়তায় ভুগছেন কি না, জানতে চাইলাম তাঁর কাছে। বললেন, ‘পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে ঠিক; কিন্তু এতে মোটাদাগে পরীক্ষাপদ্ধতি বা প্রশ্নকাঠামোয় পরিবর্তন আসবে কি না, সেসব নিয়ে ভাবছি না। এমন কিছুর সম্ভাবনা কমই মনে হচ্ছে। তবে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার সাধারণ জ্ঞান অংশের ইতিহাসনির্ভর প্রশ্নগুলোয় হয়তো কিছুটা পরিবর্তন আসবে।’দিনাজপুর থেকে ঢাকায় এসে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির প্রস্তুতি নিচ্ছেন মো. তাজকাতুল ইমরান। ফার্মগেট মেট্রো স্টেশনে তাঁর সঙ্গে আলাপ হলো। পরীক্ষাপদ্ধতি বা প্রশ্নকাঠামো নিয়ে চিন্তিত নন তিনিও। বললেন, ‘এবারের পরীক্ষা শেষ না হওয়ার প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। এইচএসসির জন্য আমাদের তো পূর্ণ প্রস্তুতিই ছিল; সেহেতু পরীক্ষাপদ্ধতি বা প্রশ্নকাঠামো নিয়ে চিন্তার কিছু আছে বলে আমি মনে করি না।’ তবে অন্য চ্যালেঞ্জের কথাও বললেন এই শিক্ষার্থী, ‘জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় থেকে পড়াশোনা একপ্রকার থেমেই গিয়েছিল। এরপর মাঝের সময়টাতে আমি পড়ার টেবিল থেকে দূরে ছিলাম। এখন আগের মতো পড়ায় মন বসাতে একটু সমস্যা তো হচ্ছেই।’ ইমরানের মতোই ‘পড়ার টেবিল থেকে দূরে’ ছিলেন ঢাকার নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী অলিন্দ আল কাভী। কুষ্টিয়ার এই তরুণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ভর্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘তখন (আন্দোলনের সময়টায়) আমাদের চিন্তাটা শুধু দেশ নিয়েই ছিল। কখন, কোথায় কী হচ্ছে, সে খবর নিয়েই পড়ে থাকতাম। প্রায় দেড় মাসের একটা বিরতি পড়ে গেছে।’ এখন নতুন উদ্যমে পড়ায় মন দিতে চেষ্টা করছেন অলিন্দ। গত কয়েক মাসে শিক্ষার্থীদের মনোজগতে বড় ধরনের ঝড় বয়ে গেছে। মাস দুয়েক আগে তাঁরা যে পরিকল্পনায় এগোচ্ছিলেন, এখনো কি পরিকল্পনা একই আছে? জানার আগ্রহ ছিল। মেহেরপুর থেকে মেয়েকে নিয়ে ফার্মগেটের একটি কোচিংয়ে ভর্তি করাতে এসেছেন মো. মোখলেছুর রহমান। তিনি বললেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, সে ভার্সিটির খ ইউনিটের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এখনো তা-ই নিচ্ছে।’ চাঁদপুরের রেজওয়ানা, দিনাজপুরের ইমরান, কুষ্টিয়ার অলিন্দও একই কথা বললেন। তাঁদের লক্ষ্যের কোনো পরিবর্তন হয়নি।আগে কোচিংয়ের জন্য ঢাকামুখী হওয়ার চলই বেশি ছিল। মূলত করোনা–পরবর্তী সময়ে এ পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। এখন ঢাকার বাইরে থেকে কিংবা অনলাইনের মাধ্যমেও ভালো প্রস্তুতি নেওয়ার সুযোগ আছে। ঝিনাইদহের ছেলে মাহমুদুল হাসান যেমন এখন খুলনায় আছেন। প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার জন্য। হোয়াটসঅ্যাপে আলাপ হলো তাঁর সঙ্গে। বললেন, ‘বোর্ড পরীক্ষা শর্ট সিলেবাসে হয়েছে। তাই এবারের ভর্তি পরীক্ষাগুলোয় শর্ট নাকি ফুল সিলেবাস থেকে প্রশ্ন হবে, তা নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তা আছে।’

...
ঢাবির ক্লাসে ফিরে শিক্ষার্থী বললেন, ক্যাম্পাসে এই স্বস্তি বজায় থাকুক

‘দীর্ঘদিন পর ক্লাসে ফিরতে পেরে আনন্দ লাগছে। অনেক সহপাঠীর সঙ্গে বহুদিন পর দেখা হলো। এক নতুন বাংলাদেশে ভয়-ভীতিমুক্ত ক্যাম্পাসে ফিরতে পেরেছি। ক্যাম্পাসে এই স্বস্তি বজায় থাকুক।’ কথাগুলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. ফাহিমের। দীর্ঘ ১১২ দিন পর আজ রোববার আবার শ্রেণিকক্ষে ফিরেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সম্পূর্ণ ভিন্ন এক পরিবেশে শ্রেণিকক্ষে ফিরে প্রথম আলোর কাছে এমন প্রতিক্রিয়া জানান ফাহিম। ঈদুল আজহার আগে গত ২ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছুটি শুরু হয়। ছুটি শেষে ১ জুলাই শ্রেণি কার্যক্রম তথা ক্লাস শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সর্বজনীন পেনশনের নতুন স্কিম ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহারের দাবিতে সেদিন থেকে সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। অন্যদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা, যা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে হয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পৃথক আন্দোলনে গত জুলাইয়ে কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন দমাতে দমন-পীড়নের পথ বেছে নিয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। এর ফলে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন একপর্যায়ে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসার পর আজ আবার ক্লাসে ফিরলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল আটটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে ক্লাস শুরু হয়। ক্লাস শুরুর প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। ক্লাসে ফিরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকে প্রথম বর্ষ ছাড়া স্নাতকের অন্যান্য বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের ক্লাস শুরু হয়। প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু হবে ৩০ সেপ্টেম্বর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খানসহ পদস্থ শিক্ষকেরা আজ সকাল থেকে কয়েকটি অনুষদ ঘুরে শ্রেণি কার্যক্রমের চিত্র দেখেছেন। পাঁচটি বিভাগ ছাড়া সব বিভাগ-ইনস্টিটিউটে আজ ক্লাস হচ্ছে। আজ সকালে বিজ্ঞান, ফার্মেসি, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান, কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এলাকা ঘুরে শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্য দেখা গেছে। অধিকাংশ বিভাগেই শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কার্জন হল ও ভিসি চত্বর এলাকায় দীর্ঘদিন পর দেখা গেছে লাল বাসের সারি। বটতলায় আড্ডা দিতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের অনেককে। কেউ কেউ শ্যাডোর খাবারের দোকানে নাশতা করছিলেন। মধুর ক্যানটিনেও ছিল শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ক্লাস শুরুর দিনে আজ শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি খুবই ভালো। গড়ে ৯০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে ফিরেছেন। কোনো কোনো বিভাগের শ্রেণি কার্যক্রমে শতভাগ শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্দোলনকেন্দ্রিক দ্বন্দ্বের ঘটনা আছে—এমন কয়েকটি বিভাগে অবশ্য আজ ক্লাস হচ্ছে না। প্রক্টর জানালেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের চারটি বিভাগ ও ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের একটি বিভাগে ক্লাস হচ্ছে না। তবে সেখানে কোনো হইচই নেই। পরিবেশ শান্ত আছে। অন্য সব বিভাগেই ক্লাস হচ্ছে।

...
তারকা হয়েও বাসে ঘুমাতেন শাহরুখ

মণি রত্নমের ‘দিল সে’ থেকে শুরু করে আনন্দ এল রাইয়ের ‘জিরো’, শাহরুখ খান ও চিত্রনাট্যকার তিগমাংশু ধুলিয়ার সম্পর্ক বহুদিনের। সম্প্রতি সিনেমার সেটে শাহরুখ কেমন, তা নিয়ে মুখ খুললেন তিগমাংশু। শাহরুখকে নিয়ে বড় কথা সামনে এনেছেন তিনি। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তিগমাংশু বলেন, ‘শাহরুখ ঠিক কতটা নম্র, তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। সেটা আমি “দিল সে”র শুটিং চলাকালীনই খেয়াল করেছি। তত দিনে অবশ্য শাহরুখ স্টার হয়ে গিয়েছেন। আমরা লাদাখে শুটিং করছিলাম...মণি স্যারের সঙ্গে উনি রাস্তায় ঘুরে বেড়াতেন।’ সেই সময়ের শাহরুখকে নিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘লাদাখে ভ্যানিটি ভ্যান বা অন্য কিছু ছিল না। আমরা যে বাসে উঠতাম, দুই দিকে সিটের মাঝের রাস্তায় যেখানে মানুষ হেঁটে যেত, সেখানেই লাঞ্চের সময় ৩০ মিনিট ঘুমিয়ে নিতেন শাহরুখ। মাঝেমধ্যে আমরা জ্যাকেট বা অন্য কিছু নিতে যাওয়ার জন্য বাসে উঠে শাহরুখের ওপর দিয়েই যেতাম। তবে শাহরুখ কোনো কিছুতেই আপত্তি করতেন না। উনি কখনো বলেননি আমার ঘুমানোর সময় বাসে কেউ ঢুকতে পারবে না। অথচ তিনি কিন্তু তখন স্টার। তিনি ৩০ মিনিট ঘুমাতে চেয়েও কোনো দিন নির্বিঘ্নে সেই সময়টুকু পাননি।’ ‘দিল সে’ ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন মনীষা কৈরালা। আর এই মিউজিক্যাল রোমান্টিক-থ্রিলারটির হাত ধরেই অভিনয় দুনিয়ায় পা রেখেছিলেন প্রীতি জিনতা।

...
ঢাকায় বাসস্ট্যান্ডে ওমর সানীর রেস্তোরাঁ, নিউইয়র্ক থেকে যা বলছেন মৌসুমী

সিনেমার অভিনয়ে এখন অনিয়মিত ওমর সানী। একসময়ের তুমুল ব্যস্ত এই ঢালিউড তারকার এখনকার ব্যস্ততা শুটিং ফ্লোরে নয়, রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়। এই ব্যবসা তিনি বেশ উপভোগ করছেন। তাই নতুন শাখাও চালু করছেন। ঢাকার রামপুরায় শুরুর পর সাভারেও চালু করেছিলেন। এবার ওমর সানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে নতুন রেস্টুরেন্ট চালু করেছেন। চিত্রনায়ক স্বামীর পথচলায় শুভকামনা জানিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন মৌসুমী। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আছেন দেশীয় চলচ্চিত্রের একসময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা। দেশে থাকলে স্বামীর উদ্যোগে পাশে থাকতেন। সাভারে ‘চাপওয়ালা’রেস্টুরেন্ট চালুর পর জনপ্রিয়তা পায়। গেল মার্চে ঝড়ে এই রেস্টুরেন্ট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারপরও সাভারে রেস্টুরেন্টটির জনপ্রিয়তায় অনুপ্রাণিত হয়ে ধামরাইয়ে নতুন শাখা চালুর সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল শুক্রবার ধামরাইয়ের বাথুলীতে চালু করলেন চাপওয়ালার শ্বশুরবাড়ি হাইওয়ে বাংলা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট এবং পার্টি সেন্টার। ওমর সানীর বাংলা হোটেল চালু উপলক্ষে শুভকামনা জানিয়েছেন মৌসুমী। সবাইকে আসার আমন্ত্রণ জানিয়ে মৌসুমী বলেছেন, ‘যাঁরা আমাদের চাপওয়ালাতে সব সময় গিয়েছেন, তাঁদের কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা। যাঁরা আসেননি কখনো, তাঁদের কাছে আমার প্রত্যাশা, কখনো সময় পেলে আসবেন আমাদের ছোট্ট রেস্টুরেন্টে। এই ভিডিও বার্তার কারণ, বাথুলীতে আমাদের আরও একটি রেস্টুরেন্ট চালু হয়েছে, চাপওয়ালার শ্বশুরবাড়ি নামে। এখানে ভাত, খিচুড়ি, পোলাও—এ রকম বাংলা খাবারের সমারোহ থাকবে। থাকবে গরুভুনা, মুরগিভুনা, ভর্তা-ভাজি, ডাল। পাশাপাশি থাকবে স্পেশাল চাপ ও অন্যান্য জনপ্রিয় আইটেম।মৌসুমী আরও বলেন, অনেকেই বলেছিলেন, ‘আপনারা শুধু শহরভিত্তিক রেস্টুরেন্ট করেন, এ দিকটায় করেন না। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখেই এটা করা। আশা করি আপনারা এলাকাবাসী পাশে থাকবেন, তাহলে আমাদের এই কষ্ট সার্থক হবে।’ ভিডিও বার্তার এক পর্যায়ে রেস্টুরেন্ট নিয়ে ওমর সানীর আগ্রহ ও আন্তরিকতার কথাও তুলে ধরলেন। মৌসুমী বললেন, ‘রেস্টুরেন্টে প্রচুর সময় দেয় ওমর সানী। ও অনেক ভালোবাসে এই কাজটা করতে। রেস্টুরেন্ট তার ভালোবাসার জায়গা। তাকে উৎসাহিত করার জন্য আপনারা আসবেন। দেখা হবে, আড্ডা হবে। আমন্ত্রণ রইল।’ ভিডিওর এক পর্যায়ে ওমর সানীও আগ্রহীদের আহ্বান জানান। ভক্তদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘হাইওয়েতে আমরা চাপওয়ালা শ্বশুরবাড়ি রেস্টুরেন্ট ও পার্টি সেন্টার করেছি। আপনারা আসবেন, এটা ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। এলাকাবাসীর কাছে আমাদের অনুরোধ, আপনারা অবশ্যই আসবেন। সবাইকে নিয়ে আসবেন।’

...
জরুরি বিভাগে ফিরেছেন কলকাতার ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা

অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাঁদের আন্দোলন আংশিকভাবে প্রত্যাহার করে সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন। গতকাল শুক্রবার তাঁরা এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার প্রতিবাদে এবং দোষী ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে গত ৯ আগস্ট থেকে আন্দোলন ও কর্মবিরতি শুরু করেন কলকাতার ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। নানা স্তরের মানুষ তাঁদের সেই আন্দোলনে সমর্থন জানান ও অংশগ্রহণ করেন। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা মোট পাঁচ দফা দাবিতে তাঁদের আন্দোলন চালিয়ে যান। রাজ্য সরকারের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দুই দফা বৈঠকও হয়েছে। প্রথম বৈঠকটি হয় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর বাসভবনে। দ্বিতীয় দফায় নবান্নে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে। গতকাল ছিল চিকিৎসকদের আন্দোলনের ৪২তম দিন। এদিন আন্দোলনকারীরা কলকাতার সল্টলেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে থেকে বিশাল একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করেন। মিছিল শেষ হয় কলকাতার সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দপ্তরের সামনে। মিছিলে শুধু চিকিৎসকেরা নন, যোগ দেন কলকাতার বিভিন্ন স্তরের মানুষ। মিছিল থেকে স্লোগান তোলা হয়, ‘আর কত দিন সময় চাই, জবাব চাই সিবিআই’, ‘লক্ষ গলায় একই স্বর, বিচার চাইছে আর জি কর’। মিছিল শেষে আন্দোলন আংশিক প্রত্যাহার করে কাজে ফেরার ঘোষণা দেন ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা এ ঘোষণাও দিয়েছেন, বাকি দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের এই আন্দোলন জারি থাকবে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে তাঁরা আবার কর্মবিরতিতে যেতে পিছপা হবেন না।গতকাল ছিল আন্দোলনের ৪২তম দিন। এদিন কলকাতার নাগরিক সমাজ আর জি করে নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে মশাল হাতে প্রতিবাদ মিছিল করেন। তাঁরা এদিন ৪২ কিলোমিটার পথ হাঁটেন। বিকেলে দক্ষিণ কলকাতার হাইল্যান্ড পার্ক থেকে মিছিল শুরু হয়। সর্বস্তরের হাজারো মানুষ মশালমিছিলে শরিক হন। মিছিলটি হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শুনু হয়ে কলকাতার রুবি হাসপাতাল, পিজি হাসপাতাল, সায়েন্স সিটি, কলকাতা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, এনআরএস হাসপাতাল হয়ে আর জি কর হাসপাতালের কাছে শ্যামবাজার পর্যন্ত যায়। দিবাগত রাত দুইটার দিকে মিছিলটি শেষ হয়। মিছিলে চলচ্চিত্র অঙ্গনের তারকা, সমাজকর্মী, নাট্যব্যক্তিত্ব, ক্রীড়াবিদ, চিকিৎসকসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন। মিছিল থেকে দাবি তোলে হয় ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’।

...
চিনি মেশানো পানি খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন কিউবার অনেক মানুষ

আপনার খাবার টেবিলে চাল, পাস্তা বা ম্যাকারনি না থাকলেও সেটা বলার মতো কিছু নয়। কিন্তু যখন কিছুই থাকে না, তখন বেশি খারাপ লাগে। কিউবানরা ঘুম থেকে উঠে আবার বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত দুশ্চিন্তায় থাকেন। ভর্তুকি দেওয়া রেশনের খাবার না থাকলে বেশির ভাগ কিউবানকে না খেয়ে থাকতে হতো। এসব খাবারও এখন আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক দুষ্প্রাপ্য ও ব্যয়বহুল হয়ে পড়েছে। বেশ কিছু বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে লড়ছে কিউবা সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া এসব নিষেধাজ্ঞার কারণে কিউবা নিত্যপণ্য আমদানিতে হিমশিম খাচ্ছে। এ কারণেই মূলত সেখানে খাদ্যসংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে।সরকারি এক সিদ্ধান্তে ইতিমধ্যে রেশনে দেওয়া রুটির আকার ছোট করা হয়েছে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হাতের তালুর চেয়েও ছোট একেকটি রুটি। চাল দুষ্প্রাপ্য। আর তেল ও কফি পাওয়া যাচ্ছে না কোথাও। ৫৭ বছর বয়সী রোসালিয়া টেরেরো হাভানায় একটি দোকানে কাজ করেন। সেখানে ভর্তুকির খাবার বিক্রি করা হয়। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ শুধু পানিতে চিনি মিশিয়ে খেয়ে ঘুমাতে যান।’রোসালিয়ার পরিবারেরই সাত সদস্য প্রতিদিন এক টুকরা করে ভর্তুকির রুটি খেয়ে বেঁচে থাকছেন। কিউবা সরকার রেশনের রুটির ওজন ৮০ গ্রাম থেকে কমিয়ে ৬০ গ্রাম নির্ধারণ করেছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পেট ভরার জন্য ওইটুকু রুটি যথেষ্ট নয়।’ কমিউনিস্ট–শাসিত কিউবায় মাত্র তিন বছর আগে বেসরকারি দোকান চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। এখন এসব দোকান থেকে বেশির ভাগ মানুষ খাবার কেনার সামর্থ্য রাখেন না। আবার কিছু সরকারি দোকান আছে, যেখানে ভর্তুকির খাবার পাওয়া যায় না। এসব দোকানে শুধু বৈদেশিক মুদ্রা গ্রহণ করা হয়। এ কারণে ওই সব দোকান থেকেও খাবার কিনতে পারেন না মানুষেরা।

...
মিয়ানমারে বন্যায় নিহত বেড়ে ৩৮৪

মিয়ানমারে টাইফুন ইয়াগির প্রভাবে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৪ জন। নিখোঁজ রয়েছে ৮৯ জন। গতকাল শনিবার দেশটির সামরিক সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। এক সপ্তাহের বেশি সময় আগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে আঘাত হানে টাইফুন ইয়াগি। এতে করে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চল, লাওস, থাইল্যান্ড ও মিয়ানমার টানা বৃষ্টিপাত শুরু হয়। টানা বৃষ্টির কারণে দেখা দেয় বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা। জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) শনিবার জানায়, ইয়াগির কারণে মিয়ানমারে প্রায় ৮ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবচেয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো ধ্বংসস্তূপ অবস্থায় রয়ে গেছে। টাইফুনের কারণে বাড়িঘর, গৃহস্থালির সম্পদ, পানির উৎস ও বিদ্যুৎ অবকাঠামো ব্যাপকভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। রাস্তা, সেতু, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, স্কুল, জনসেবা সুবিধা, ধর্মীয় স্থান, ফসল ও কৃষিজমি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

...
মুইজ্জুর আসন্ন ভারত সফর কী সংকেত দিচ্ছে

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু শিগগিরই ভারত সফরে যাবেন। ‘ইন্ডিয়া আউট’ কর্মসূচি দিয়ে গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতেছিলেন তিনি। তবে সরকার গঠনের পর অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। এর মধ্যে মুইজ্জুর ভারত সফরের কথা শোনা যাচ্ছে। মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের প্রধান মুখপাত্র হিনা ওয়ালিদ গত সপ্তাহে জানান, ‘প্রেসিডেন্ট শিগগিরই ভারত সফরে যাবেন৷’ গত এপ্রিলে মুইজ্জুর সরকার মালদ্বীপে থাকা ভারতের সেনাদের একটি দলকে মালদ্বীপ ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এরপর মে মাসে চীনের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি সই করে তারা৷ এ ছাড়া বছরের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের দুজন উপমন্ত্রী। ভারতের লাক্ষ্মাদ্বীপে মোদির পর্যটন প্রসারের পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই মন্তব্য করেছিলেন মালদ্বীপের মন্ত্রীরা। এর উত্তরে ভারতের পর্যটকেরা মালদ্বীপ বর্জনের ডাক দেন, যেটি পর্যটননির্ভর মালদ্বীপের জন্য মারাত্মক হুমকি ছিল৷ডি সুজা বলেন, ‘মোদিকে নিয়ে ঠাট্টা করা দুই উপমন্ত্রীর পদত্যাগ বলে দিচ্ছে মুইজু নয়াদিল্লির সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখতে চান। তবে এতে চীনের প্রতি তাঁর যে পক্ষপাত, সেটি পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’ মালদ্বীপের ঋণের বোঝা বাড়ছে। রাজস্বের পরিমাণ কম। রিজার্ভও কমে যাওয়ায় বাজেট ঘাটতি আছে। সে কারণে আর্থিক সহায়তা খুঁজছে দেশটি। দেশটি চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ুক, এটা ভারত চায় না। তাই গত মাসে মালদ্বীপ সফরে গিয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সে সময় মালদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক ভারতের জন্য একটি অগ্রাধিকার বিষয় বলে তিনি উল্লেখ করেছিলেন।

Website list with categories || World web list

One popular web list | website list with categories | world web list !

oop world wweb list, website links list, most visited websites in the world 2022, list of websites, website list with categories, check website category, types of websites with categories, list of all websites in the world, popular website categories, list of websites, popular web list, in world, web list, worldweblist.com!


Two world web list

Two popular web list | website list with categories | world web list

two world web list, website links list, most visited websites in the world 2024, list of websites, website list with categories, check website category, types of websites with categories, list of all websites in the world, popular website categories, list of websites, popular web list, in world, web list, worldweblist.com!